Pages

سبب شهرته بشيخ الإسلام

أ- ذات مرة انعقدت حفلة كبيرة بينجاب، وكان فيها علماء أعلام من كل نحلة، فأعلن أحد بلقب شيخ الإسلام لبعض اللامذهبيين، وكان فيها الشيخ الشاه عطاء الله البخاري، فقام رادا عليه وأعلن أن لقب شيخ الإسلام يتجه لمن يكمل "فتح الملهم" لشيخ الإسلام العلامة شبير أحمد العثماني، فلما أكمله شيخ الإسلام محمد تقي العثماني بست مجلدات كبار عرف بهذا اللقب.

ب ولما قدم الشيخ حبيب الخوجه الأمين العام لمجمع الفقه الإسلامي بجدة مرة بباكستان، خطب في حفلات كثيرة ببلاد متفرقة بباكستان، وذكره فيها بلقب شيخ الإسلام حيث يقول: قال شيخنا شيخ الإسلام إلخ. فزادت شهرته به.

ج مرة انعقد مجلس للطلاب بجامعة دار العلوم كراتشي، وكان فيها العلامة شيخ الحديث سحبان محمود والمفتي محمد رفيع العثماني والشيخ تقي العثماني وغيرهم، فأعلن الشيخ خالد من طلبة قسم الإفتاء) اسم الشيخ محمد تقي العثماني بلقب شيخ الإسلام، فقام الشيخ وغضب عليه غضبا شديدا، ومنع بنانا أن يلقبه أحد به، وقال: لست جديرا بهذا اللقب، بل استعماله في حقي يكون توهينا له.

ثم لما قام بعده الشيخ المفتي رفيع العثماني وقال: أسر إلى أنها العلامة شيخ الحديث سحبان محمود (وكان أستاذهما) بأنه يتمنى من قلبه أن يلقبه بشيخ الإسلام، وأنا أيضا أتفق معه في هذا اللقب، ومنعه وإن كان يجري على الطلبة لا يجري علينا، فنحن نلقبه به فاشتهر جدا بهذا اللقب فكأنه صار جزءا من اسمه.


শাইখুল ইসলাম

মুফতি তাকী উসমানী দা.বা. যেভাবে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধিতে প্রসিদ্ধি লাভ করলেন!
....................

১. পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একবার জাতীয় কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি বড় সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন ঘরানার প্রখ্যাত আলেম, ফকীহ, চিন্তাবিদ ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে সঞ্চালক জনৈক লা মাযহাবী আলেমকে 'শাইখুল ইসলাম' উপাধিতে সম্বোধন করে বক্তব্যের জন্যে নাম ঘোষণা করেন। এতে উপস্থিত মাজলিস থেকে শাহ আতাউল্লাহ বুখারী রাহি. দাঁড়িয়ে তা শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং ওই সেমিনারে ঘোষণা দেন, যিনি শাইখুল ইসলাম হযরত মাওলানা শাব্বীর আহমদ উসমানী রাহি. কৃত সহিহ মুসলিমের ওপর লিখিত অসাধারণ ও অসমাপ্ত ব্যাখ্যাগ্রন্থ 'ফাতহুল মুলহীমে'র তাকমিলা লিখতে সক্ষম হবেন তাঁর নামের সাথেই 'শায়খুল ইসলাম' উপাধি শোভা পাবে।

পরবর্তীতে যখন মুফতি তাকী উসমানী দা.বা. 'ফাতহুল মুলহীমে'র' ছয় খন্ডে 'তাকমীলা' লিখেন তখন থেকেই উলামায়ে কেরাম তাকে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধিতে ভূষিত করা শুরু করেন।

২. একবার 'মাজমাউল ফিকহিল ইসলামী জেদ্দা'র সেক্রেটারি জেনারেল শায়েখ হাবীব আল খু'জাহ পাকিস্তান সফরে আসেন এবং সেখানকার বিভিন্ন প্রদেশে অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে বক্তব্যও রাখেন।

তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতায় মুফতি তাকী সাহেবের নামের শুরুতে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধি যুক্ত করে এভাবে সম্বোধন করতেন যে— قال شیخنا شیخ الاسلام...
"এব্যাপারে আমাদের শায়খ শায়খুল ইসলাম বলেছেন....।"

অতঃপর তাঁর দেখাদেখি অন্যরাও তাকে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধিতে ভূষিত করতে শুরু করেন এবং এভাবেই তা ছড়িয়ে পড়ে।

৩. একবার দারুল উলুম করাচিতে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে দারুল উলুম করাচির শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা সাহবান মাহমুদ দা.বা., মুফতি রফী উসমানী দা.বা. ও মুফতি তাকী উসমানীসহ জামেয়ার অন্যান্য আসাতিযায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে হযরত মুফতি তাকী উসমানীর নাম ঘোষণা করতে গিয়ে ইফতা বিভাগের ছাত্র মাওলানা মুহাম্মদ খালেদ হযরতের নামের শুরুতে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধি যুক্ত করেন। শোনা মাত্রই হযরত দাঁড়িয়ে যান এবং তাঁর ওপর খুবই রাগান্বিত হোন এবং তাঁর নামের সাথে 'শায়খুল ইসলাম' যুক্ত করতে সকলকে কঠোর ভাষায় নিষেধ করে বলেন, لست جدیرا بهذا القب، بل استعماله فی حقی یکون توهینا له.
"মহান এ উপাধির আমি যোগ্য নই, আমার সাথে এর ব্যবহার 'শায়খুল ইসলাম' শব্দের অপমান বৈ কিছু নয়।"

অতঃপর মুফতি রফী উসমানী হাফি. দাঁড়িয়ে বললেন যে,  সবেমাত্র আমাদের উস্তায শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা সাহবান মাহমুদ হাফি. আমাকে কানে কানে বলেছেন যে, তিনি মন থেকে চান যে, তাঁকে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধিতে ভূষিত করা হোক।  আর আমিও হযরতের সাথে এ উপাধি প্রদানের ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করছি।

তাঁর এ নিষেধাজ্ঞা ছাত্রদের জন্য প্রযোজ্য, আমাদের জন্য নয়। আমরা তাঁকে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধিতে ভূষিত করবোই। তারপর উপস্থিত তালিবুল ইলমরা সমস্বরে শায়খুল ইসলাম, শাইখুল ইসলাম বলে ধ্বনি দিতে শুরু করে।

বর্তমান বিশ্বে প্রকৃত অর্থেই তিনি 'শায়খুল ইসলাম'। শায়খুল ইসলাম— এর যত বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার এর সবগুলোই তাঁর মধ্যে পাওয়া যায়। আল্লাহ তাআলা হযরতকে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করুন। তাঁর ইলমে আমলে এবং হায়াতে বারাকাহ দান করুন। আমাদেরকে তাঁর থেকে বেশি বেশি ইস্তিফাদা করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

সূত্র: আল ফাতহুর রাব্বানী: পৃষ্ঠা-২০
বাংলা অনুবাদ হেলাল আশহাদ কাসেমী

Post a Comment

Previous Post Next Post